কবিতা
কবিতা “চতুর্দশীর ভুত”
“চতুর্দশীর ভুত”
লেখক : তরুণ কুমার দাস।
স্যাওড়া গাছে শাকচুন্নি ঘোমটায় আধা হাত।
যেই দেখেছে হরেন খুড়ো ভয়েই কুপোকাত।
ঝাউ গাছেতে ঝেয়ো ভূতে দিচ্ছেরে হাতছানি।
তাই না দেখে মামদো ভূতে করবেই মানহানি।
রেললাইনে স্কন্ধকাটা খুঁজে বেড়ায় গলা।
তাইনা দেখে পেত্নীরানী করছে রে ছলকলা।
পৈতে কাঁধে ব্রহ্মদত্তী খড়ম পায়ে যায়।
জনমানব দেখতে পেলেই ঘাড়খানি মটকায়।
নিশি রাতে নিশির ডাকে যেও নাকো দোর খুলে।
জীবনখানি পগারপার তোমার দেহ ভুলে।
বাঁশবাগানে বেসো ভূতের বড্ডো ছরাছড়ি।
প্রেমিক ভুত পেঁচাপেঁচি বসে আড়াআড়ি।
কানাভুলো লুকিয়ে আছে সারা শহর জুড়ে।
ভুলেও যেনো গান গেওনা নাকি নাকি সুরে।
পুকুর পাড়ে মেছোভুতের আজব আড্ডাখানি।
জেলে ভায়ার মাছের ঝাঁপি বড়ো অভিমানী।
সবার সেরা ভুতের রাজা গেছো ভুতের দল।
ভুতটি সেজে লুকিয়ে গাছে মানুষ মারার কল।
রামনামেতে জব্দ সবাই চতুর্দশীর ভুত।
মানুষ নামের ভুতটি কিন্তু সবচেয়ে অদ্ভুত।