কবিতা
মা আমাদের যত্ন করে শেখালেন যে ভাষা, সে ভাষাকে নিয়ে মোদের অনেকে গর্ব, আশা।
ইচ্ছেরা প্রতি মুহুর্তে টুটি চেপে ধরে ধীরেনজেঠু বলতেন, "ইচ্ছের বিরুদ্ধে
আকাশ তারা স্বপন দোসর সূর্য মহান, এ পৃথিবী বাস্তুরেখা
জন্মের পর থেকে মৃত্যুর সাথে কত বোঝাপড়া,
স্যাওড়া গাছে শাকচুন্নি ঘোমটায় আধা হাত। যেই দেখেছে হরেন খুড়ো ভয়েই কুপোকাত।
আগের মতো ভূতেরা আর দিচ্ছে না তিন বর।
ওভাবে খুব আলগা কিছু মন লেগেছে আমের আঁটি
ছোট ছোট ঢেউ জোয়ারের নদী ডুবে যায় চরাভূমি ---
ব্যধিঘোর জাগাতে এসেছে কুয়াশায় ভোরের পাখিরা
ক্রমশ নিদ্রাহীনতার পরে-- সবুজ বনবাংলোয় কেটেছিল দু রাত্রি।
ফুলডুংরির ঝি আর বনকাপাশির ছা
বিষ ঢেলে দিয়ে মাথাতে ওরা চলে যায় কোন দুঃস্থ
গলার ভেতরে লাফ দিয়ে ওঠে ব্যাং ব্যাং নয় ওটা সবুজ রঙের রাগ
পাশের বাড়ির পটকা মামা গায়ে তার ঢলকা জামা।
ক'দিন ধরে কাশছ ভীষণ তুমি নিয়ম করে কাশির ওষুধ খাও? ঘুসঘুসে জ্বর, সেও তো আছে দেহে
এক পৃথিবী আকাশ দিলাম চন্দ্র সূর্য দীপ্তি ভরা দাও-না এবার আমায় লিখে
শুঁড় ফুলিয়ে হাঁটছে হাতি ভীষণ এক কায়দায় পথিমধ্যে পিঁপড়ে দেখে
তোমার জন্য দুঃখগুলো ঠিক যেন পেঁজাতুলো, উড়িয়ে দিলাম আকাশপুরে
এভাবেই জীবন কাটে তুমি'ই বলেছো হেলে পড়া গাছের ডাল কেউ এসে কেটে নিয়ে যায়
বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে গেছে ভেঙ্গেছে মেরু -তুষার প্রাচীর ‘মিলনে আইসশেলফ’।
উড়ে উড়ে ঘুরি ভাই ডানা দুটো মেলে
আজ মুখ লুকানোর দিন কবিতাকে গান স্যালুট দেওয়ার খবর এসেছে
পুজোর ছুটি আসবে বলে কতদিনের অপেক্ষা রেলের গাড়ি চড়ব আমি, ফসকায় না বেমক্কা!
শ্যামল সুন্দর এ গ্ৰাম-বাংলা হিজলের তলে কাটে শৈশব বেলা।
ভুর্জপত্রে লিখে রাখি সংশপ্তকের দিনযাপন।
আকাশ জুড়ে বৃষ্টি আসুক ক্লান্ত মনের অগোচরে। বৈশাখী শেষ গল্পগুলো ভেঙেচুরে মন কেমনে।
চাঁদ নেমেছে দিঘির কোলে সবুজ ঘাসের শিশিরে নামছে ভোর,আহ্লাদে লাল . . .
আজ শুভদিন,বিখ্যাত দিন একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতে আমরা বাঙালি গর্ব করতে পারি . . .
হাঁটছি একা হনহনিয়ে পেছন থেকে খনখনিয়ে . . .
ফুলডুংরির ঝি আর বনকাপাশির ছা . . .
মেঘেদের স্নানঘরে হাতে হাতে উড়ছে ইতস্তত আঙ্গুলের ক্যারিশমা
আমার সমস্ত কবিতা দাহ করেছি যেদিন সেই শূন্য ভূমিতে হল কর্ষণে
স্বত্বাধিকারীর অনুমতি ছাড়াই আকাশ ঢেলেছে বৃষ্টি।
Copyright © 2022 Rupkatha Live. All Rights Reserved. Powered by : Technotrick Systems.